রাজশাহী নগরীতে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেহাল দশা
রাজশাহী নগরীর জনগুর্বত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ উঠে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এ অবস’ায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কবে নাগাদ মেরামত হয়ে সড়কগুলো চলাচল যোগ্য হবে জানা নেই নগরবাসীর।
নগরীর মনিচত্বর মোড়, হেতম খান-বর্নালী, দরগাপাড়া-মাস্টারপাড়া, কুমারপাড়া চালপট্টি, তালাইমারী ও টিকাপাড়া মোড়টি চলাচলের জন্য খুবই গুর্বত্বপূর্ণ। এসব সড়কের পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও মেরামতের উদ্যোগ নেই সিটি কর্পোরেশনের। এরফলে চলাচলের ৰেত্রে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঐসব সড়ক দিয়ে ছোট-বড় সকল যানবাহনকে চলাচল করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে।
মনিচতর্ব মোড় হতে রাজশাহী কলেজ পর্যন্ত রাস্তাটির কর্বণ দশা বহু দিন থেকেই। সেখানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সেটি নগরির একটি খুবই জনগুর্বত্বপূর্ণ রাস্তা। সে সড়ক দিয়েই অসংখ্য রিকশা, অটোরিকশা বাস, মিনিবাস এবং ট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। এখন এমন অবস’া সৃষ্টি হয়েছে যে সেখান দিয়ে চলাচল করাই দায়। সেখানে রিকশায় চলাচল করতে গিয়ে অহরহ হোঁচট খেতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ নগরীর অধিকাংশ মানুষই চলাচল করে সে সড়ক দিয়ে। বারবার সড়কটির মেরামতের প্রয়োজনীয়তার গুর্বত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে অথচ টনক নড়েনি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপৰের।
নগরির আরেক গুর্বত্বপূর্ণ সড়ক মাস্টারপাড়া-দরগাপাড়া সড়কটি। সে সড়কের পিচ উঠে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হাঁটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ঐ সড়ক দিয়ে অসংখ্য মানুষ আসে পাইকারী কাঁচাবাজারে এবং বিনোদন প্রিয় মানুষ বিনোদনের জন্য যায় পদ্মা গার্ডেনে। আরেকটি সড়ক হেতম খান-বর্নালী সড়ক। সড়কটি বেহাল অবস’ায় রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। তালি দিতে দিতে সড়কটি ভেঙ্গেচুরে এমন এক ভাঙ্গা রাস্তায় পরিণত হয়েছে যা চলাচলের অযোগ্য। নগরীতে প্রবেশের আরেক গুর্বত্বপূর্ণ সড়ক মোড় হচ্ছে তালাইমারী জাহাঙ্গীর সরণী মোড়। সেখান দিয়ে অসংখ্য আন্তঃনগর, জেলা, উপজেলা হতে বাস, মিনিবাস, মালবাহী যান নগরীতে প্রবেশ করে থাকে। পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিসহ অসংখ্য ছোট-মাঝারি যান চলাচল করে। গত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সেখানকার পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন আগে সেখানে অস’ায়ীভাবে রাবিশ ফেলে মেরামতি কাজ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরফলে হুমকিতে চলাচল করতে হচ্ছে বাস মিনিবাসসহ সকল ধরনের যানবাহনের যাত্রীদের।
একই সাথে বছরাধিককাল থেকে অচলাবস’ায় পড়ে রয়েছে নগরীর বহু পুরাতন কুমারপাড়া চালপট্টি সড়কটি। সেদিকে নজর নেই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপৰের। অথচ একদিন এই সড়কটি ছিল রাজশাহীর মূল সড়ক। ভেঙ্গেচুরে একেবারে অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় সে রাস্তাটিকে এখন অনেকেই এড়িয়ে চলেন। এরফলে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়ে মার খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ অবস’া শুধু ঐসব সড়কগুলোতেই নয়। নগরির আনাচে-কানাচের অনেক ছোটে-খাটো রাস্তাও ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। যা স’ানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতিনিয়ত নজরে পড়লেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। আর রাস্তা সংলগ্ন ড্রেনের শৱাব ভেঙ্গে গেলেও মেরামত করা হয় না দিনের পর দিন। এরফলে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
পিচ উঠে গিয়ে নগরীর যে সব সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সেগুলো মেরামতের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পৰ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের পৰ থেকে টেন্ডার হয়ে গেছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে মেরামতের কাজ শুর্ব হবে বলে তিনি জানান।
খবরঃ দৈনিক সোনালী সংবাদ
রাজশাহীর নেতারা আছে শুধু খমতা নিয়ে
yes,,,,