রাজশাহী এখন এগিয়ে চলেছে। এই শহরে মানুষ বেড়েছে কয়েকগুণ। আর আমাদের এই নগরী তথা এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদী মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কোন বিকল্প নেই। যোগাযোগ, বিদ্যুতসহ সবধরণের অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে এরই মধ্যে নগরীতে দুইটি ফ্লাই ওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন জলাধার সংস্কার করা হচ্ছে। শিল্প ও কলকারখানা নির্মাণে নেয়া হচ্ছে যুগোপযোগী পদক্ষেপ। উদ্দেশ্য একটাই নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মার্চ সোমবার চায়নার একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল রাজশাহীর উন্নয়নের লক্ষ্যে নগর মাস্টারপ্ল্যানের এতটি খসড়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে রাসিকে’র মেয়রের কাছে।
তবে শুধুমাত্র রাসিক’কে সম্পৃক্ত করে পুরো রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ এর সাথে সম্পৃক্ত সরকারের আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। বিচক্ষণ ও দুরদর্শি রাসিকের মেয়র সে বিষয়ে আগে থেকেই অবহিত। আর তাই তিনি নগরীর সার্বিক উন্নয়নে এবার সরকারের অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করেছেন। যাতে সমন্বয়ের অভাবে রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ না হয়।
সোমবারের চায়না প্রতিনিধিদের সেই মাস্টারপ্ল্যান প্রেজেন্টেশন দেখতে মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আরডিএ এর চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিসহ ওয়াসা, বিদ্যুত বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্ত ও সড়ক বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীকে নতুন প্রজন্মের জন্য উপযোগী করে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখে উচ্চভিলাষী মনে হতে পারে। তবে আজ থেকে ২০ বছর পর এটি মনে হবে প্রয়োজন। রাজশাহীকে ঢাকার মতো অবস্থায় দেখতে চাই না। মাস্টারপ্ল্যান করছি, সুন্দর-মনোরম রাজশাহী তৈরিতে। নতুন প্রজন্মের জন্য রাজশাহীকে প্রস্তুত করে রেখে যেতে চাই। মাস্টারপ্ল্যানগুলো চুড়ান্ত হবার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে কাজ শুরু হবে। সকল প্রতিষ্টানের সাথে সমন্বয় করে রাজশাহীর উন্নয়নে আমরা দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে চাই।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন