আষাঢ়ে এবার তেমন বৃষ্টি হয়নি। চলছে শ্রাবণ মাসের বারোতম দিন। বর্ষাকালও তাই প্রায় শেষের দিকে। শাওনের বারিধারাও শুরু হয়েছে পাঁচদিন হলো।
বেশ কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হলেও অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা সোমবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত চলতে থাকবে।
তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বা অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই অবস্থায় ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা এবং যশোর অঞ্চল-সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। তাই সাগর শান্ত রয়েছে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরকে কোনো সতর্কতা দেখাতে বলা হয়নি। ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের কোনো শঙ্কাও নেই বলে পূর্বাভাসে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে। সেখানে ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরের স্থানেই ছিল সীতাকুণ্ড, সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৩ মিলিমিটার। এই দুই এলাকায় ছাড়া সমগ্র দেশের সবগুলো স্টেশনেই বৃষ্টিপাত ১০০ মিলিমিটার ছাড়ায়নি। অধিকাংশ জায়গায়ই বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০ মিলিমিটারের কম।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪