আর ক’দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সেই উৎসব উদযাপন করতে আপন নীড়ে ফিরতে কর্মব্যস্ত নগরী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন কোটি মানুষ। ট্রেনের ভেতরে ঠাঁই নেই, ঘরমুখো মানুষের স্রোত এখন কমলাপুরে।
শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ছাদে সেই পুরনো দৃশ্যের দেখা মিললো না। তুলনামূলক মানুষ কম থাকায় ছাদে মানুষের ভিড় নেই, এমনটাই জানিয়েছেন স্টেশনের কর্মকর্তারা।
ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে রেলওয়ের যাত্রী সেবা শুরু হয়েছে। যারা ২২ মে প্রথম দিন আগাম টিকিট কেটেছেন, তারাই শুক্রবার বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হওয়ার আগে সোমবার (৩ জুন) একদিন কর্মদিবস। শুক্র ও শনিবার (৩১ মে ও ১ জুন) সাপ্তাহিক ছুটি এবং রোববার (২ জুন) পবিত্র শবে কদরের ছুটি।
ফলে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকেই এক দিনের ছুটি নিয়ে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন। ফলে আগেভাগে ফাঁকা হতে চললো বিশ্বের সবচেয়ে এই ঘনবসতি শহর।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, রেলস্টেশনের প্লাটফর্মেও লাখো মানুষের ভিড়। ট্রেনে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষকে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ট্রেনে উঠাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে সবক’টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরি করে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
ট্রেনে উঠতে পেরে বেশ খুশি ষাটোর্ধ আব্দুল লতিফ। কর্মজীবী ছেলের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন এই বাবা। বছর পরে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর যাচ্ছেন, তাই আব্দুল লতিফের চোখে-মুখে হাসি। তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কোরবানির ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। স্বজনের সঙ্গে ঈদ করা অন্যরকম আনন্দের। তাই আবার বছর ঘুরে বাড়ি যাওয়া হচ্ছে। বাড়ি যাচ্ছেন, তাই তার বাবা ও মেয়েটি বেশ খুশি বলেও জানান।
শুধু আব্দুল লতিফই নন, এমন লাখো মানুষ আনন্দ-হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। নিরাপদে বাড়ি ফিরে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারলেই তাদের সেই হাসি-আনন্দ স্বার্থক হবে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে থেকে ছেড়ে যাবে নির্ধারিত ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, কিছুটা দেরি হলেও মোটামুটি ঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর