চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে ওঠা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিককের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোমবার (০৩ জুন) থেকে গার্মেন্টসসহ সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই চেষ্টা করছি যাত্রীদের ছাদে ওঠা থেকে বিরত রাখতে, কিন্তু এটা পারছি না।
ট্রেনের শিডিউলের বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর ঢাকাসহ পাঁচটি স্থান থেকে উত্তরাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রীদের চাপ একটু বেশি থাকায় এবং প্রতিটি স্টেশনে আগে যেখানে ২ থেকে ৩ মিনিট ট্রেন দাঁড়াতো সেখানে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় লাগছে। এ কারণেই বিপর্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান।
ম্যানেজার বলেন, ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা ট্রেনের কাজ সম্পন্ন করেই তাদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি।
এদিকে সকাল থেকেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা গেছে। রংপুরের নীলসাগর ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ১২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে, রংপুরের উদ্দেশ্যে আরেকটি ট্রেন ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়বে ১২টা ৫ মিনিটে, লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে সকাল ৯টা একটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি দুপুর ১টায় ছাড়বে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর