ঈদ আনন্দ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরেছিলেন ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ। রোববার (০৯ জুন) কর্মদিবস শুরু হওয়ায় শনিবার (০৮ জুন) সকাল থেকেই তারা এখন ঢাকামুখী। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, শনিবার সারাদিনে ৬৯টি ট্রেনে ঢাকায় ফিরবেন অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিন কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে মানুষের স্রোত এখন ঢাকামুখী। নানা ভোগান্তির পর ট্রেন যখন কমলাপুর এসে পৌঁছে তখন যাত্রীদের চোখে মুখে দেখা যায় প্রশান্তির ছাপ। তবে প্রিয়জনদের গ্রামে রেখে আসার বেদনার ছাপও রয়েছে অনেকের চেহারায়। এদিন সকাল থেকে যতগুলো ট্রেন কমলাপুরে এসে থেমেছে প্রতিটি ট্রেন থেকেই শত শত মানুষকে নামতে দেখা গেছে। তবে অন্যবারের তুলনায় ভোগান্তি অনেক কম বলছেন যাত্রীরা।
একই সুরে কথা বললেন, কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আজ ঈদের চতুর্থ দিন। বেলা ১১টা নাগাদ ১৯টি ট্রেন ঢাকা ছেড়েছে। একই সময় বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ১৮টি ট্রেন ঢাকায় এসেছে। এখন একদিকে অর্থাৎ ঢাকা আসার দিকে ভিড় থাকার কথা থাকলেও যাওয়া এবং আসা দু’দিকেই যাত্রী ভিড় আছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহ ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
আসার ট্রেনগুলিতেও যথেষ্ট ভিড় আছে উল্লেখ করে সিতাংশু বলেন, ১৮টি ট্রেন এসেছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস বিলম্বে এসেছে। বিলম্বে আসার কারণ যাত্রীর চাপ। প্রতিটি স্টেশনে ট্রেনগুলো দুই মিনিট থামার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে কোথাও কোথাও ১০/১৫/২০ মিনিট থামিয়ে রাখতে হয়। এ কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। তবে ঢাকায় আসার পর আবার যথাসময়ে ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, এখনও তিনটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলছে। দেওয়ানগঞ্জ, ঈশ্বরদী আর লালমনি ঈদ স্পেশাল। তিনটি স্পেশালই সাতদিন পর্যন্ত চলবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। গাড়িতে জিআরপি আছে, কোনো সমস্যা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে যেসব ট্রেন ঢাকায় এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ধূমকেতু এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ১১ ডাউন নোয়াখালী মেইল, ওয়ান ডাউন চিটাগাং মেইল, নীলসাগর এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, তিতাস ও লালমনি ঈদ স্পেশাল এক্সপ্রেস।
এদিকে সকাল থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে গেছে তার মধ্যে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস বিলম্বে ছেড়েছে। বাকিগুলো সঠিক সময়েই ছেড়ে গেছে।
দুপুরের পর যেসব ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম যাবে সুবর্ণ এক্সপ্রেস সম্ভাব্য ছাড়ার সময় ১২.১০ মিনিটে, সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ১.৫৫ মিনিটে, রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ১.৩০ মিনিটে, কিশোরগঞ্জের এগারসিন্ধুর বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে, খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস যাবে ৫টা ৪০ মিনিটে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর