ঢাকা-খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা পর ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, নীলসাগর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৮টায়। কিন্তু ট্রেনটি এখনও কমলাপুর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায়নি। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের আগে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাবনা কম।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, মূলত অতিরিক্ত যাত্রীর চাপেই ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। ট্রেনের টেকনিক্যাল ও অবকাঠামোগত কোনো সমস্যা নেই। কমলাপুর ও বিমানবন্দরে বাড়তি যাত্রী উঠছে ঈদযাত্রায় সবাইকে সুযোগ করে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।
ঈদুল ফিতরের বাকি মাত্র একদিন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে অনেকে কয়েকঘণ্টা অাগেই কমলাপুরে এসেছেন। বগুড়ার সান্তাহারের যাত্রী মনিরুল ইসলাম। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোর ৬টা থেকে কমলাপুরে অপেক্ষা করছেন।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের আরিফুল জানান, সপরিবারে থাকেন মোহাম্মাদপুর কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে। ভোর থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কোনা ঝামেলা ছাড়া সবাই ট্রেনে উঠবো। কিন্তু ট্রেন এখনও কমলাপুরে আসেনি।
ঈদে নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য কমলাপুরে ঘর মুখো মানুষের ঢল। কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ২৩ হাজার সাধারণ যাত্রী ও সাড়ে ৪ হাজার বিশেষ ট্রেনের যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। অথচ এর কয়েকগুন বেশি যাত্রীর অপেক্ষা কমলাপুরে। নিষেধ থাকা সত্ত্বের অনেকে ট্রেনের ছাদ চেপে ঘরে ফিরছেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪