ঈদ মানে ঘরে ফেরার উৎসব। ঈদের আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে বাড়ি ফেরা। আপনজনের সান্নিধ্যে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির জন্য নীড়ে ফেরাতেই সবার আনন্দ।
ঈদের ছুটিতে আবাসিক হলগুলো বন্ধ হওয়ায় শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরে গেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের আনন্দ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে নিজভূমে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকেন শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম আন্তর্জাতিক ডরমেটরিতে।
ডরমেটরির সহকারী রেজিস্ট্রার অসিত কুমার সরকার জানান, বর্তমানে ডরমেটরিতে ২৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন। এদের মধ্যে নেপালের ১৫ জন, সোমালিয়ার ১১ জন এবং জর্ডানের দু’জন।
নেপাল থেকে আসা শিক্ষার্থী জিলানী আনসারি। পড়ছেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। তিন বছর ধরে আছেন বাংলাদেশে। বাংলা ভাষা বেশ ভালোই রপ্ত করেছেন।
তিনি বাংলাতেই বললেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উপভোগ করা অনেক আনন্দের। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। সত্যি বলতে আনন্দে মনটা ভরে গেছে।
নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের ঈদ উদযাপনের পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেপালে অনকেটা বাংলাদেশের মতোই ঈদ উদযাপিত হয়। তবে নেপালে মুসলমানদের সংখ্যা কম। বাংলাদেশে যেভাবে আড়ম্বরপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করা হয়, নেপালে সেভাবে হয় না।
এবার ঈদের ছুটিতে ২৮ বিদেশি শিক্ষার্থীর সবাই দেশে যাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে দেশে যাবেন ১০ জন। ভিসা জটিলতা ও একাডেমিক ব্যস্ততা থাকায় অন্যরা এবার ক্যাম্পাসেই থাকবেন।
তড়িৎ ও তাড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দীনের বাড়ি জর্ডানে। তিনি বলেন, ঈদের পরপরই আমার ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে। পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে দেশে যেতে পারছি না। ঈদের ছুটিতে আমরা যারা এখানে থাকছি সবাই একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো।
বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঈদে পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকবে। তাই এ সময়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ডরমেটরিতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪