রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের এ ও বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে তিনটি সিফটে এ ও বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কোন জালিয়াতির অভিযোগ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এবার রাবির ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ায় এমসিকিউ ও লিখিত উভয় পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ বছর তিনটি ইউনিটের অধীনে ৪ হাজার ৭১৩টি আসনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ৯০ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিন সকাল ৯টায় এ ইউনিটের গ্রুপ-১ ও বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে গ্রুপ-২ এবং বিকেল ৩টায় ‘বি’ ইউনিটের গ্রুপ-১ (বাণিজ্য) ও গ্রুপ-২ (অ- বাণিজ্য) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং যেকোনো ধরনের জালিয়াতি রোধ করতে প্রতি বছরের মত এবারও কঠোর অবস্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ভিসি সাংবাদিকদের বলেন, রাবিতে এবার নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। সেই সাথে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কম হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, পরীক্ষায় কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভিসি সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোনো ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১০টা ৪৫ পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের গ্রুপ-১ (বিজ্ঞান) এর (রোল ১০০০১ থেকে ২৫২৫৭ পর্যন্ত), বেলা ১১টা ৪৫ থেকে দেড়টা পর্যন্ত গ্রুপ-২ (বিজ্ঞান) এর (রোল ৫০০০১ থেকে ৬৫২৫৬ পর্যন্ত) ও গ্রুপ-৩ (অ-বিজ্ঞান, রোল ৮০০০১ থেকে ৮০৭১৬ পর্যন্ত) এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার হলে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস (ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, হেডফোন, মেমোরিযুক্ত ঘড়ি) ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন