মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রিলিফ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। হলের দ্বিতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের সামনের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন এই রিলিফ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে হলের বঙ্গবন্ধু পাঠাগার ও মসজিদের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র ও হলের আবসিক শিক্ষার্থী তাপস কুমার মণ্ডল বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন এই রিলিফ ভাস্কর্যটির প্রতিকৃতি তৈরী করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এই দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি তৈরি করার পুরস্কার স্বরুপ অনুষ্ঠানে এই নবীন শিল্পীকে হলের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আলোকিত তারাই যাদের দ্বারা অপকার দূর হয়ে যায়, অন্ধকার দূর হয়ে যায়। আলো যেমন সরল পথে যায় তেমনি যারা উচ্চশিক্ষিত, জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ তারাই আলোর মতো সরল রেখায় চলে, সত্যকে মেনে নেয়।
তিনি বলেন, তোমরা সত্যকে মেনে নাও, সত্যকে স্বীকার করতে শিখ। বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা মানে দেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা মানে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে প্রতারণা করা।
উপাচার্য বলেন, তরুণরাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তাই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তরুণ শিক্ষকদের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যাতে তারা উদ্যোমের সঙ্গে দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে লতিফ হল তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন তিনি।
হলের আবাসিক শিক্ষক ও আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ছালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, রহমতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর রুকসানা বেগম ও প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন হলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরা ছাড়াও হলকে কিভাবে আরও উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
হলের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন বলেন, আমাকে হলের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে হলের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ভিসি স্যারকে অবহিত করি। স্যার আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং এখন পর্যন্ত হলের উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রেখেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাহিদুল ইসলাম, আমীর আলী হল প্রাধ্যক্ষ ড. আমিনুল ইসলামসহ হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪