রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বেলা পৌণে ১২টায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলামের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কাদিরগঞ্জে থাকা তার বাবা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার কবর ও পরে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) রূপোশের মাজার জিয়ারত করেন। এ সময় সেখানে ও ১৪ দলের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পান। রাজশাহী থেকে ১৪ দলের তিনিই একমাত্র নেতা হিসেবে দলের মনোনয়ন ফরম তোলেন।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক অন্য দলগুলোও খায়রুজ্জামান লিটনকে সমর্থন দিয়েছেন। রাসিক নির্বাচনে এবার খায়রুজ্জামান লিটনের জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।
মনোনয়ন ফরম দাখিলের পর খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক দিন ধরেই নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। আগের ভুল-ত্রুটি শুধরে তারা নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে মহানগরীর প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষ তা বুঝতেও পেরেছেন। এবার রাজশাহীর মানুষ আর ভুল করবে না।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ জুন সুষ্ঠুভাবে রাজশাহী সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল আনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ২৮ জুন; মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ও ২ জুলাই; প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ জুলাই এবং ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ শেষ করা হবে। ৩০ জুলাই সকাল থেকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে রূপ নেওয়ার পর মেয়র পদে প্রথম ভোট হয় ১৯৯৪ সালে। সেবার বিজয় হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ২০০২ সালের নির্বাচনেও জয় পান তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় পান ১৪ দলের প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে নানা সমীকরণে ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন