রাজশাহীতে বন্ধ রেশম কারখানা চালু করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, রাজশাহীর মানুষের স্বার্থে কারখানাটি চালুর ব্যাপারে প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও আছে।
‘বর্তমান প্রেক্ষপটে বাংলাদেশে রেশম উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সুধি সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা এ কথা বলেন। শনিবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহীর রেশম কাপড়ের সুনাম অনেক। আমদানিনির্ভর সুতার ব্যবহার না করলে এর মান আরও ভাল হবে। আমরা রেশম কারখানা চালু করে এর সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করতে চাই। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক রয়েছে।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর রেশম কারখানা স্থাপিত হয়। কিন্তু ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকার কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। ১৫ বছর পর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন।
সভায় তিনি রেশম কারখানার অন্তত পাঁচটি লুম আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে চালু করে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার জন্য রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাঁচটি লুম উৎপাদন শুরুর পর কারখানাটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে একটা রোডম্যাপ ঠিক করা হবে বলেও জানান সংসদ সদস্য বাদশা।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া ও সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেণী। সভাপতিত্ব করেন রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম।
এতে বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলীসহ অন্য রেশম ব্যবসায়ী ও চাষিরা বক্তব্য দেন। তারা রেশম শিল্পের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন