রাজশাহীর সবজির বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তাদের অভিযোগ বাজার তদারিকেতে গাফিলতির কারণে ব্যবসায়ীরা এহেন সুযোগ পায়। আর বিক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।
রাজশাহীর স্থানীয় বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি বাজারে মানভেদে কাঁচা মরিচ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ চার থেকে পাঁচ দিন আগেও এ মরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
শালবাগান কাঁচা বাজারে বাজর করতে আসা ছাপোষা কর্মচারী শেখ রহিম জানান, পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাঁচা মরিচ বেশি পরিমানে কিনে রাখা যায় না। তাই প্রায় দু-এক দিন পরই বাজারের সাথে কিনতে হয় কাাঁচা মরিচ। আর প্রতিদিন এই মরিচের দাম বাড়তেই আছে। মাছ মাংস না খাইলেও হয়; তবে মরিচ ছাড়াতো তরকারীতে স্বাদ আসে না। ব্যবসায়ীরাও বুঝে সেটা, তাই এবার এই মরিচের দিকেই তাদের নজর। বাজর করতে আসা আরেকজন ক্রেতা জানান, বেলায় বেলায় মরিচের দাম বড়ছে। রমযান মাসে দেখলাম ভ্রাম্যমান আদালত এ সব নিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছিল। এখন তারা কোই!
এদিকে সাহেব বাজরের কাঁচা তরকারী ব্যবসায়ী জামাল জানান, পাইকারী বাজারেই দাম বড়ছে। তাই আমরা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছি, আর সেই হিসেবেই বিক্রি করছি।
সূত্র মতে, একটি মহল বর্ষাকালকে কেন্দ্র করে নিত্য পণ্য হিসেবে স্বীকৃত এই কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়েছে। তারা প্রান্তিক পর্যায়ের জমির মরিচ নিয়ন্ত্রণে রেখে এখন বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয় বাজারগুলোতে মরিচের দাম বাড়িয়ে চলেছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন