সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান সরকারের নেয়া রাজশাহী জেলার হয়রত শাহমখদুম বিমান বন্দরের সার্বিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরলেন পর্যটন ও বিমান পরিবহন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রাজশাহী জেল প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, রাজশাহী শাহমখদুম বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরে রূপান্তরের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে আন্তর্জাতক মানের রানওয়ে নির্মাণসহ বিমান বন্দরটির কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সকরার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, সিভিল এ্যভিয়েশন অথোরিটি অফ বাংলাদেশ (সিএএবি), আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় কালে আলোচকগণ মন্ত্রীর কাছে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসময় তারা জানান, রাজশাহীতে বিপুল পরিমাণে আম, সবজি ও মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এই মাছ ও সবজি রাজশাহীর চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এ পণ্যগুলো দেশের বাইরে রপ্তানি করার। আর এজন্য রাজশাহী বিমান বন্দরটিকে দ্রুতসময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে এখানে সরাসরি কার্গো বিমান উড্ডয়ন করান যায়।
এসময় মন্ত্রী জানান, রাজশাহী বিমান বন্দরের অবকাঠামোর উন্নয়নে ইতিমধ্যেই স্থানীয় রুয়েটের একটি বিশেষঞ্জ টিমকে পরামর্শকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এই অঞ্চলে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির লক্ষে বিমান বন্দরে কারগো বিমান উড্ডয়নের বিষয়টি প্রকল্প আকারে তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠান হবে। আর বিমান বন্দরের সার্বিক উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় এমপি দের সহযোগীতার প্রয়োজন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্তিত ছিলেন রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হক, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (পিপিএম) প্রমুখ।
পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বন্দরটির উন্নতির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বিমান বন্দটিতে প্রায় ১২ কোটি টাকার কাজ সম্পাদিত হয়েছে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার কাজ হাতে নেয় হয়েছে। যাতে আইসিএও মান অনুযায়ী রানওয়ে নির্মান, বাউন্ডারি নির্মান, সাইট স্ট্রিপ উন্নয়ন, বিমান বন্দর এলাকায় জলাশয় ভরাট, রানওয়ে কার্পেটিং, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, আনুধিক মানের রেস্ট হাউজ, পুলিশ ব্যারাক নির্মাণসহ এ্যাপ্রোন সম্প্রসারণ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। সর্বপরি রাজশাহীবাসীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এ বিমান বন্দরটিকে একটি আধুনিক মানের পূর্ণাঙ্গ বিমান বন্দরে রূপান্তরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তথা সরকার কাজ শুরু করেছেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন