হার নিশ্চিত জেনে শুরুতেই অপপ্রচার শুরু করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলে মন্তব্য করেছেন মহাজোটের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকালে নগরের ১২ নং ওয়ার্ডের সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে গণসংযোগকালে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় ও সুসংগঠিত দল। নির্বাচন নিয়ে সব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি তাদের আগে থেকেই ছিল। তাই প্রচার শুরুর সাথে সাথেই নগরজুড়ে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গাতে দলের নেতাকর্মীরা নেমে পড়েন। এক রাতেই সব এলাকায় তার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে।’
পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে নষ্ট করার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ্য করে লিটন বলেন, ‘রাজশাহী নগরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানোর অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী টাঙ্গাতে পারে। পরিকল্পনার অভাবে বিএনপির প্রার্থী প্রচারে পিছিয়ে পড়েছেন। হার নিশ্চিত জেনে বিএনপি প্রচারের শুরুতেই অপপ্রচার শুরু করেছে। এবার ভোটরা বিএনপির অপপ্রচার গ্রহন করবে না।’
প্রচার প্রচারণা শুরুর দ্বিতীয় দিন সকালে নগরের ১২ নং ওয়ার্ডের সাহেববাজার আরডিএ মার্কেট থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। দুপুর পর্যন্ত তিনি এলাকার বিভিন্ন মার্কেটে গণসংযোগ করেন দোয়া চান এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাজশাহীর উন্নয়ন করার সুয়োগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ভোটারদের হাতে রাজশাহীর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার নির্বাচনী ইশতেহারের কপি তুলে দেন লিটন। এ সময় আরডি মার্কেটের এক নারী ব্যাবসায়ী লিটনকে একটি পিতলের তৈরী নৌকা উপহার দেন।
এ সময় তার সঙ্গে বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুসহ ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ‘নৌকা’, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ‘ধানের শীষ’, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) হাবিবুর রহমান হাবিবকে ‘কাঁঠাল’, ইসলামী আন্দোলনের সরিফুল ইসলাম ‘হাতপাখা’ এবং গণসংহতি আন্দোলনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ ‘হাতি’ প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়ছেন।
পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। আগামী ৩০ জুলাই ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে। এবার ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন