আর মাত্র ১০দিন পরেই ঈদুল আজহা। এই ঈদে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি পশু কেনাতেই তাই মনোযোগ থাকে সামর্থবানদের। এরপরেই নতুন পোশাকের চেয়ে মানুষের আরও বেশি আগ্রহ থাকে ফ্রিজে। বিশেষত যাদের ঘরে পণ্যটি নেই। তাই ঈদে কেনাকাটার তালিকায় অনেকের কাছেই কোরবানির পশুর পর দ্বিতীয় চাহিদায় থাকে ফ্রিজ। এমন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন অফার ছেড়েছে কোম্পানিগুলোও।
কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস সংরক্ষণ হবে ফ্রিজে। তাইতো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই রাজশাহীজুড়ে ফ্রিজ কেনার ধুম পড়েছে।
বিক্রেতারা জানান, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবার প্রচুর পরিমাণে ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। দেশে ১শ লিটার থেকে ৪শ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওজনের ফ্রিজ পাওয়া যায়। তবে এবারের ঈদে ১৫০ থেকে ২শ লিটার ওজন ধারণক্ষমতার ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।
রাজশাহীতে চলতি সপ্তাহেই ফ্রিজের বেচা-কেনা বেড়েছে। ফ্রিজ কেনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। মহানগরীর সাহেব বাজার কেন্দ্রীক শো-রুমগুলোতে এখন বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির শো-রুম ঘুরে দাম পরখ করে সবাই সেরা পণ্যটিই কিনছেন পরিবারের জন্য।
ফলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মহানগরীর স্যামসাং, ওয়াল্টন, সিঙ্গার, মারসেল, এলজি ও বাটারফ্লাইসহ বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ইলেট্রনিক্স শো-রুমে বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেনা-বেচা জমেছে এই সময়টায়।
রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকার সিঙ্গার শো-রুমে আসা গৃহিণী শবনম মুক্তা বলেন, একটি ফ্রিজ শুধু দৈনন্দিন গৃহস্থালির প্রয়োজন মেটায় না, গৃহের সৌন্দর্য বর্ধনেও ভূমিকা রাখে। যে ফ্রিজ দেখতে যতও সুন্দর, দামে কম এবং টেকসই সেসব ফ্রিজেরই কদর বেশি।
যা যাচাই-বাছাই করে কেনা ক্রেতাদের কাজ। বছরের এই সময়টা ফ্রিজ কিনবেন বলে স্থির করে রেখেছিলেন। তাই এসেছেন। এছাড়া সাধারণত কোরবানির সময় ফ্রিজে নানান অফারের সুবিধার কথাও জানান এই গৃহিণী।
সিঙ্গার রাজশাহী সাহেব বাজার শাখার ম্যানেজার কাজি সিরাজুল ইসলাম জানান, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও বিত্তশালী লোকজনের মাঝেও চলছে সাধ্যমত ইলেক্ট্রনিক পণ্যের কেনা-কাটা।
সিঙ্গারের প্রতিটি পণ্যের (ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী), উপর সব্বোর্চ ২০% ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৫০ থেকে ৬০টি ইলেক্ট্রনিক পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ঈদকে ঘিরে ডিপ ফ্রিজ ও নরমাল ফ্রিজেরই চাহিদা বেশি।
এলজি বাটার ফ্লাইয়ের সাহেব বাজার শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সানজিদা পারভীন জানান, ঈদে স্ক্রাচ কার্ডে বিভিন্ন পণ্যের উপর আনন্দ অফার রয়েছে। নিম্নে ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ১০০% পর্যন্ত ফ্রি রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সব সময়ের মত এবারও রেফ্রিজেটর, কালার টিভি, ওভেন’র উপর মানুষের চাহিদা বেশি।
তবে বাজারে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন কোম্পানির আগমনে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবুও কোরবানির ঈদকে ঘিরে ফ্রিজের চাহিদাটা শীর্ষে। তাই কেনা-বেচা ভালোই হচ্ছে। চাঁদ রাত পর্যন্ত ধুমধাম করে ফ্রিজ বিক্রির চলবে বলে জানান শোরুমের এই কর্মকর্তা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪