রাজশাহী নগরীর ওলি-গলির পর এখন প্রধান সড়কেও আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেই আবর্জনায় কুকুর, বিড়াল, পাখির সাথে গবাদিপশু মুখ ডুবিয়ে আহারে ব্যস্ত সময় পার করছে। এই আবর্জনায় রোদে ও বৃষ্টিতে পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টির পাশাপাশি রোগজীবাণূ ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি আবর্জনায় থাকা বিষাক্ত পদার্থ পশুপাখি খেয়ে পশুপাখিগুলোও বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এই দুষণ ও অপরিচ্ছন্নতার বিস্তার ঘটাচ্ছে স্বয়ং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তাদের অব্যবস্থাপনাই আজ নগরীর পরিবেশ দুষিত ও অপরিচ্ছন্ন করে তুলছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আবর্জনা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখিন হবে নগরবাসী।
গত বছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান গেটের ধারে বড় গাছগুলো থেকে কাক ও শালিকসহ বেশকিছু পাখি হঠাৎ করে সড়কে পড়ে মারা যায়। এঘটনায় নগরীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বলা হয় পাখিগুলো নগরীর আবর্জনা খেয়ে মারা যাচ্ছে। এই ঘটনাই প্রামণ করে নগরীর যেখানে সেখানে ফেলে রাখা এই আবর্জনাগুলো আমাদের জীবনযাপনে ধিরে ধিরে বিশাল কোন বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে।
সরেজমিনে নগরীর সিপাই পাড়া এলাকার শিশু হাসপাতালের বিপরীতে সড়কের ধারে দেখা যায় নগরবাসীর বাসাবাড়ির উচ্ছিষ্ট পুরো সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এর দুর্গন্ধে সড়কদিয়ে চলাচল কষ্টকর। এদিকে আবর্জনা স্তুপে থাকা পলিথিনসহ রয়েছে হাসপাতালের উচ্ছিষ্ট। আর সেই আবর্জনাগুলো কুকুর, বিড়াল, পাখিসহ একদল গরু খেয়ে চলেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, এভাবে প্রধান সড়ক জুড়ে ময়লার স্তুপ ফেলে রাখায় একদিকে যেমন নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নানা রোগজীবাণু নগবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া এই উচ্ছিষ্টে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পলিথিন থাকায় তা পশুগুলো খেয়ে ফেলছে। ফরে এই পুশুপাখি ও গবাদিপশুর জীবণও হুমকিতে রয়েছে। তাছাড়া এই গবাদিপশু পলিথিন খেয়ে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই রোগাক্রান্ত গবাদিপুশুর মাংস আমরা জবাই দিয়ে খাচ্ছি। ফলে সেই মাংস খেয়ে আমরাও স্থাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। নগরবাসী দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের ধার থেকে ময়লাআবর্জনা সরিয়ে ময়লা ব্যবস্থাপনার সুবন্দোবস্ত করে নগরীকে দুষণ ও অপরিচ্ছন্নতার হাত থেকে রেহাই দবে রাসিক কর্তৃপক্ষ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন