রাজশাহী নগরীর রাণীবাজার থেকে সাগরপাড়া পর্যন্ত ৬০০ মিটার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ ৬ বছর পর চলাচলের উপযোগী হচ্ছে। ফলে এই রাস্তা ব্যবহারকারীসহ স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সেই সাথে এই সড়কটি নগরীর যানজট নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) অর্থায়নে ও মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে এই রাস্তাটিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পিচ-পাথর দিয়ে কার্পেটিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে। মেয়র এসময় স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উপস্থিত থেকে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, মাত্র ৬০০ মিটার পুরোনো সংকীর্ণ রাস্তাটি মোট ৪২ফুট প্রশস্থ করার পাশাপাশি সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। এসময় রাস্তাটি প্রশস্থ করার জন্য রাস্তাসংলগ্ন প্রায় ৯০টি বাড়ি ভেঙে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তবে কাজ সম্পন্ন না করে বছরের পর বছর রাস্তায় সংস্কারের নামে শুধু ইট-খোয়া ফেলে রাখা হয়। ফলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ছিল সীমাহীন দুর্ভোগ। এদিকে, রাজশাহীর সড়কে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই চলাচলের উপযোগী হলে যানজট নিরসনে এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিরা রাখবে।
রাস্তাটি নগরীর সিরোইল, ভদ্রা, বালিয়া পুকুর, দেবিশিংপাড়, বোশপাড়া, বেলদারপাড়া, সাগোরপাড়া, মুন্নাফের মোড়, সাধুর মোড়সহ আশপাশের এলাকাবাসী সাহেব বাজর, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কোটসহ নগরীর পশ্চিমদিকের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনে যাতায়তে ব্যবহার করে। একই ভাবে নগরীর পশ্চিম এলাকার মানুষেরা রুয়েট, বিশ^বিদ্যালয়, ট্রেন স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডে যেতে সড়কটি ব্যবহার করে। সড়কটি ব্যবহারের অন্যতম উদ্যেশ্য যানজট উপেক্ষা করার পাশাপাশি সময় সাশ্রয় করা।
রাসিকের দেয়া তথ্য মতে, প্রকল্পটির নাম ‘রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় থেকে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’। প্রকল্পের শেষের অংশ এই রাস্তাটির কাজ শুরু করে ‘বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও, নানা জটিলতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে ২০১৮ সালের মেয়র হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্বগ্রহণের পর রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। এজন্য নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় কাজটি এতোদিন শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন আর নগরবাসীকে কষ্ট করতে হবে না। রাস্তাটিতে কার্পেটিংএর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহেই কাজ সম্পন্ন হবে এবং নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন