প্রায়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াত মুজাহিদ ওরফে মানিক ও বিজয়। ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোর শুক্রবার বিকেলে শেষবারের মতো রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনে। রোববার রাতে তাদের মরদেহ ফিরে বাড়ি।
মৃত মুজাহিদ রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার মৃত আনফর রহমানের ছেলে। আর মানিক পাশের জামালপুর এলাকার মৃত রুহুলের ছেলে।
শনিবার সকালে ঢাকার টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বর্ণমালা এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাতেই রাজশাহীতে মরদেহ নিয়ে ফেরেন স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশের টঙ্গী ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে বর্ণমালা রেলক্রসিং এলাকায় দুই কিশোরের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একজনের পকেটে রাজশাহীর একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। এরই সূত্র ধরে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একজনের মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আরেকজন শরীরে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে যান স্বজনরা। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন বর্ণমালা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান।
তবে কী কারণে দুই কিশোর ঢাকায় যাচ্ছিল তা জানাতে পারেনি স্বজনরা। তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত দুইজন। শুক্রবার বিকেলেও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
দুই কিশোরের বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায়। চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, দুই কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের কথা আমাদের জানানো হয়। পরে তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানাই আমরা। ঘটনাটি তদন্ত করছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪