রাজশাহী নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা লক্ষ্মীপুর। হাসপাতাল আর ক্লিনিক, ওষুধের দোকান, চিকিৎসকদের চেম্বার আর ডায়াগনস্টিকের কারনে ভীড় লেগেই থাকে এ এলাকায়। তবে এ এলাকার বেশীরভাগ খাবারের হোটেল রেস্তোরায় খাবার বিক্রি হয় সম্পূর্ণ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। খাবার উন্মুক্ত রেখেই চলে ব্যবসা। হোটেল য়ালাদের হাকডাক।
বিভিন্ন সড়কের পাশে বা ফুটপাতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবারের দোকান। স্ট্রিট ফুড বা পথ খাবার হিসেবে একদিকে সহজলভ্য ও অন্যদিকে সস্তা হওয়ার কারনে সাধারণ মানুষের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ এসব খাচ্ছেন দেখে শুনেই। যদিও গবেষণায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ পথ খাবারেই নানা ধরনের জীবাণু আছে।
উত্তরবঙ্গের একমাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশের ফুটপাতেই বসে উন্মুক্ত এসব খাবারের পসরা। রাজশাহী নগরী ছাড়াও বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন হাসপাতালে। বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল হওয়ায় এখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। আর রোগীর সাথে আত্মীয় স্বজনের বাড়তি চাপ তো লেগেই থাকে। এসব মানুষের খাবারের বেশীর ভাগ যোগান দেয় এসব হোটেল রেস্তোরাগুলো। বাধ্য হয়েই মানুষ মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খান সেখানে।
সেখানের একটি হোটেলে কথা হয় নওগাঁ থেকে আসা এমদাদুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মেডিকেল ক্যান্টিনে খাবার ভাল না, আবার দামও বেশি। তাই কম দামে রাস্তার খাবার খেতে হয়। বাইরে থেকে এসে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা লাগে। কম খরচে ফুটপাতের খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
সরেজমিন এসব হোটেলে ঢু দিয়ে দেখা যায়, ভাত, তরকারি সব কিছুই ঢাকনাবিহীন উন্মুক্ত রাখা হয়। দোকানদাররা বলেন, খাবার সব সময় ঢেকে রাখার চেষ্টা করি। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে দোকান হওয়ার কারনে সব সময় আর রাখা হয় না। নগরীর লক্ষীপুর ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোডের খাবারের হোটেলগুলোর এখন এমনই দশা। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চলে আসলেও কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বললেই চলে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine