মাস খানেকের মধ্যেই গাছ থেকে নামবে ফলের রাজা আম। গাছে গাছে ঝুলছে আমের থোকা। সেই আমের কেজি এখন মাত্র দুই টাকা। শিলাবৃষ্টিজনিত কারণে ঝরে পড়া এসব আম কুড়িয়ে বিক্রি করছেন এলাকাবাসী।
রাজশাহীর চারঘাটের বিভিন্ন বাজারে দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গাছ থেকে ঝরে পড়া আম। আর গ্রামে গ্রামে এই আমের দাম সাকুল্যে দেড় টাকা।
রোববারও চারঘাটে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আম বাগান থেকে সংগ্রহ করে দুই টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী সকাল থেকে ভ্যানগাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ঝরে পড়া আম কিনছেন। সেখানে তিনি দেড় থেকে দুই টাকা কেজি দরে আম কিনছেন। সেই আম বানেশ্বরসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে পাইকারি দামে আড়াই টাকা কেজিতে বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
চারঘাট উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের আমবাগান মালিক তোতা মিয়া বলেন, আমার আমবাগানে প্রতিটি গাছে ব্যাপক মুকুল এসেছিল। কিন্তু সেই তুলনায় তেমন আম আসেনি। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আম লোকজন কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করছে দুই টাকা কেজি দরে।
কালুহাটি এলাকার ঝড়ে পড়া আম বিক্রেতা ফাইসাল কবির বলেন, আমি বাগান পাহারাদার। ঝড়ে পড়া আম কুড়িয়ে বিক্রি করছি। বাগান মালিকরা এগুলোর টাকা নেয় না। তবে ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে বাগান মালিকের ক্ষতি হয়েছে।
চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুর রহমান বলেন, এই উপজেলায় তিন হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকায় আমগাছ রয়েছে। কয়েক জায়গায় ছোট ছোট শিলা পড়েছে। তবে এজন্য এক ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করলে শিলায় আমের তেমন ক্ষতি হবে না।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪