বৈশাখী খরতাপ যেন আর কাটছেই না। রাজশাহীর প্রকৃতি যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। আগুনঝরা আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। একটু শীতল পরশের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়ের মানুষ।
যত দিন গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। দিনে লু হাওয়া, রাতে গুমট গরমে নাভিশ্বাস উঠছে সবার। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে।
সূর্য দহনে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরন্দ্রের মাটি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, সামান্য বিরতি দিয়ে রাজশাহীর তাপমাত্রা আবারও বাড়ছে।
গত ৩ ও ৪ মে ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। এরপর থেকে আবারও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে বুধবার (৮ মে) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে তাপমাত্রা বাড়ছেই।
আরও কয়েকদিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ এবং বিকেল ৩টায় ৪৫ শতাংশ। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম।
ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে রাজশাহীর জে্যষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, ১/২ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া এই তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪