বহুল আলোচিত রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মডেলকন্যা রাওধা আতিফ আত্মহত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন রাওধা এমন কথাই উল্লেখ করেছেন মামলার এ তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাওধা আত্মাহত্যার মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। এর পর থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তবে মামলার দীর্ঘ তদন্তে মডেলকন্যা রাওধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলে। এ ঘটনায় হত্যার কোনো আলামত মেলেনি।
তিনি বলেন, প্রেম বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন রাওধা। তার শেষ গৃহীত কল ছিলো বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিলো ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকলো না’।
এর আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মডেলকন্যা রাওধা আতিফের ভিসেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায় মালদ্বীপ দূতাবাস। এর পর চাঞ্চল্যকর এ আত্মহননের মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব কাগজপত্র পাঠানো হয়।
পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, মডেলকন্যা রাওধা যে আত্মহত্যাই করেছিল সেটা পিবিআই’র তদন্তে পাওয়া গেছে। তারা এ ঘটনার তদন্তকাজ শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ও সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম শেষে পঞ্চমবারের মতো এ বিষয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই। রাওধা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই শাহ মখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই এ আত্মহত্যার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাওধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর