প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদমর্যাদা পেয়ে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, তিনি এই মর্যাদা কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর উন্নয়নে কাজ করবেন। তার কাছে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে শুধু গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ানোটাই বড় কথা নয়। পদমর্যাদা দিয়ে দেশের পিছিয়ে পড়া জেলা রাজশাহীর যে উন্নয়ন করা যাবে সেটাই বড় কথা।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। মহানগরীর কুমারপাড়ায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র লিটন বলেন, তিনি রাজশাহী শহরকে সম্প্রসারণ করতে চান। অন্তত ৩০০ বর্গকিলোমিটারের একটা সিটি করপোরেশন এলাকা তিনি গড়ে তুলতে চান। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০০৮ সালে যখন মেয়র হয়েছিলাম তখন অনেক কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরে মেয়র হিসেবে যিনি এলেন তিনি অনুমোদন করা কাজও শুরু করতে পারেননি। সাত মাস হলো আমি দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। দীর্ঘ দিন আটকে থাকা কাজগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। কিছু কাজ শুরুও হয়েছে। দ্রুতই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি ৫০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রথমবার মেয়র হয়েও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেয়েছিলেন।
এবারও এই মর্যাদা দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই মর্যাদা দিয়ে শুধু আমাকেই নয়, গোটা রাজশাহীর মানুষকে সম্মানিত করেছেন। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
মতবিনিময়ের সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেণী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলের সিনিয়র নেতা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়ায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে ফুলের মালা পড়িয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর