রাজশাহী নগরীর ভদ্রার মোড় পার হয়ে উত্তরে চারটি অভিজাত আবাসিক এলাকা। অথচ এইসব এলাকাবাসীকে শুকনো মৌসুমেও নিয়মিত কাদাপানি ডিঙ্গিয়ে খানাখন্দে পূর্ণ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে আবাসিক এলাকায় প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে চুরে পড়ে থাকলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ভদ্রা মোড়ের রেল লাইন পার হয়ে উত্তরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (আরডিএ) উদ্যোগে গড়ে উঠেছে পদ্মা, পারিজান, চন্দ্রিমা ও মহানন্দা নামে চারটি আবাসিক এলাকা। আধুনিক জীবনমান ও সুযোগ সুবিধার আশায় আবাসিকগুলোতে প্রায় ৮ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া আশপাশের এলাকাগুলোতেও এখন ঘনবসতি গড়ে উঠেছে।
সরেজমিনে ভদ্রা মোড় পার হয়ে পদ্মা আবাসিক এলাকার প্রবেশ মুখের কাছে অর্থাত পদ্মা আবাসিক পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তায় দেখা যায় রাস্তাটি ভেঙে গর্ত হয়ে রয়েছে। এবার এক নম্বর রাস্তা ধরে পশ্চিমে এগিয়ে যেতেই দেখা যায়, পদ্মা-পারিজাত লেক সংলগ্ন রাস্তাটিও ভেঙে গর্ত হয়ে রয়েছে। আর রাস্তার সেই গর্তে শুকনো মৌসুমেও পানিতে টইটুম্বুর অবস্থা। সেই ভাঙা রাস্তা দিয়েই চলছে ছোট-বড়সহ দুর পাল্লার যান। স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটি চারটি আবাসিকে প্রবেশের প্রধান দ্বার। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে যানবাহন নিজেদের সুবিধা মতো চলাচল করছে। ফলে স্থানগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।
পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রেজওয়ান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, নওদা পাড়া বাস টার্মিনাল হয়ে সব বাস এই রাস্তা দিয়েই যাতায়ত করে। ফলে রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। আর রাস্তাগুলো ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও তদারকির দায়িত্বে থাকা রাসিক তা মেরামতে দীর্ঘমেয়াদী কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একই অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দা সুজান সুলতানা বলেন, বাচ্চারা এই রাস্তাদিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়ত করে। তাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। কখন তারা রিকশা থেকে পড়ে যায়। আসলে এলাকাটি নামেই অভিযাত, কার্যত গ্রামীণ জনপদ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine