আর ক্যাম্পাসে ফিরবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর স্টাডি সার্কেলে কোন দিন তাকে দেখা যাবে না। তার কণ্ঠ শুনবে না কেউ । সবই যেন তছনছ হয়ে গেল। মা আর বাবাকে কোনদিন ডাকবেন না তিনি। মেধাবী মুখ দেখে মা কোন দিন বলবেন না ” বাবা তোর মুখটা শুকনা ক্যান খাসনি”। তিনি দুনিয়ার সব মায়া আর ভালবাসা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ওপারে।
যে নদীর পাড়ে ছবি তুলেছিলেন শখ করে নিয়তির খেলা সেই ছোট যমুনা নদীতেই সাফীর সলিল সমাধি হয়েছে। নদী আর ছবি কেবলই স্মৃতি হয়ে থাকবে সাফীর পরিবারে।
এ ভাবে অকালেই ঝরে গেল রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী সাফী মাহমুদের প্রাণ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীতে ডুবে মারা যান সাফী। তার এলাকার লোকজন বলছেন সাফী ছিল সদা হাসি খুশির একজন সজ্জন।
তিনি সব সময় হেসে হেসে কথা বলতেন। কারো সঙ্গে তার ছিলনা কোন শত্রুতা। তিনি ছিলেন পরউপকারী ও শান্তি প্রিয়।
সর্বশেষ তথ্য মতে এখন পর্যন্ত তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক তামিম আহমেদ। তিনি জানান, অনেক চেষ্ঠা চলছে লাশ উদ্ধারের কিন্তু কোন হদিস মিলছে না সাফীর লাশের।
তার বাড়িতে চলছে মাতম। তার পরিবারে এমন দশা নেমে আসবে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ওই পরিবারে কোন আনন্দ নেই। দুই দিন ধরে চলছে শোকের আহাজারি। চলছে কান্না কাটি।
জানাগেছে, সাফী মাহমুদ রুয়েটেরর ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ এর ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তামিম কাম্পাসলাইভকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চাচাতো ভাই এর সাথে নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় সাফী।
লাশের কোন সন্ধান মিলেনি আজও। এখনো তার পরিবার ও ডুবুরিরা লাশ উদ্ধারের শত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে। রাজশাহী থেকে ডুবুরী টিম এসে নদীতে উদ্ধারকাজ করছেন। তাদের প্রাথমিক ভাষ্য লাশ হয়তো স্রোতে অন্য কোন দুরে চলে গেছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম