রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) নির্বাচনী আসনের সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীর আন্তরিক প্রচষ্টায় গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় গ্রামীণ জনপদের দৃশ্যপটের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে।
জানা গেছে, তানোরের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ‘কাবিখা’ ও কাজের বিনিময়ে টাকা ‘কাবিটা’, টেস্ট রিলিফ ‘টিআর’ ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার তরিকুল ইসলামের ত্বত্তাবধায়নে চলতি অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়মূলোক প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার কাজ সুষ্ঠভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যা জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।
উপজেলার প্রত্যন্ত ও দুর্গম পল্লী এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যস্থা সহজ করতে সড়ক যোগাযোগ ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করায় প্রত্যন্ত ও দুর্গম পল্লীর বাসিন্দাদের ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাবিখা-কাবিটা ও টিআর মোট ১৮৩টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৪০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য ‘চাউল’ বরাদ্দ করা হয়েছে এসবের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ টাকা, সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এছাড়াও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে মোট ৩৪টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১০০জন শ্রমিক ৪০ দিন করে কাজ করেছে। সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। আবার এইচবিবি (ইটের হেয়ারিং) দেড় কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।
তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এমপি মহাদয়ের সদিচ্ছায় তানোরের গ্রামীণ উন্নয়ন কাজ চলছে। অতিদ্রত এ কাজগুলো শেষ হবে। সেই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার দক্ষতার সহিত কাজগুলো সুষ্ঠভাবে দেখবাহাল করছেন।
উপজেলার বাধাইড়, পাঁচন্দর ও তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য আগে হয়রানী হতে হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গিয়ে আর হয়রানী হতে হয় না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এমপি মহোদয়ের নির্দেশে কঠোরভাবে প্রতিটি উন্নয় মূলোক কাজ দেখবাহাল ভালভাবে করা হয়েছে। সরকারী বরাদ্দের এসব উন্নয়ন কাজ জোর গতিতে চলছে। জুনের মধ্যে এসব কাজ সুষ্ঠভাবে শেষ হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine