এবার বর্ষসেরা হয়েছে রাজশাহী কলেজ। এ ছাড়া এ কলেজের শিক্ষক হয়েছেন সেরা কলেজ শিক্ষক। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এমন প্রায় ৫০টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ২০১টি পুরস্কার তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সম্মানি তুলে দেয়া হবে।
আগামী ২৬ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ পুরস্কার বিতরণ করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০টি ক্যাটাগরিতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষকের মধ্যে সেরা শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) এসব শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মাউশির মহাপরিচালকের স্বাক্ষর হলে তা চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, এবার দেশ সেরা কলেজ নির্বাচিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। এ কলেজেরই শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সাহা সেরা কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সেরা স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে সেরা স্কুল শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বরিশালের সরকারি ডাব্লিউ ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সেলিনা আখতার। দেশ সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের মধ্যে রয়েছে- সেরা কলেজ, সেরা স্কুল, সেরা প্রধান শিক্ষক, সেরা শিক্ষক, সেরা শ্রেণি শিক্ষক, সেরা স্কাউট, সেরা রেঞ্জার, সেরা রোভার, সেরা বিএনসিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর), সেরা গার্লস গাইড, সেরা স্কাউট গ্রুপ, সেরা রেঞ্জার গ্রুপ, সেরা রোভার গ্রুপ, সেরা স্কাউট শিক্ষক, সেরা গার্লস গাইড শিক্ষক, সেরা রোভার শিক্ষক, সেরা রেঞ্জার শিক্ষক, সেরা বিএনসিসি শিক্ষক, সেরা জেলা শিক্ষক কর্মকর্তা, সেরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সেরা কেরাত, সেরা হামদ-নাত, সেরা রচনা, সেরা কবিতা, সেরা বিতর্ক, সেরা দেশাত্মবোধক গান, সেরা নৃত্যসহ প্রায় ৫০টি ক্যাটাগরি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের মধ্যে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত, একটি সনদ ও ক্রেস্ট দেয়া হবে।
মাউশির প্রশিক্ষণ পরিচালক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য রোববার জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন এ পুরস্কার বিতরণ করা হবে। শিক্ষকদের পারফর্মেন্স যেন ভালো হয়, তারা যেন নিজেদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পারেন সেটার জন্যই প্রতি বছর এ আয়োজন করা হয়।’
এবার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে মাউশি। এ কারণে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের যোগদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষার মধ্যে এভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ছাত্রছাত্রী-অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, ‘পরীক্ষার মধ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও ছাত্রছাত্রীদের তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া কোনো অভিভাবক তাকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগও করেননি।’ তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪