গত রোববার রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি রেল সেতুর উপর আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যূত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নড়বড়ে ও পুরনো সেতুগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগেকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সার্ভে করেন সব সেতুর বিষয়ে। দ্রুত নেমে পড়েন। যেগুলো নড়বড়ে, পুরানো সেগুলোর বিষয়ে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেন। বর্ষার আগেই যা মেরামত করা যায়।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর বুধবার পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি-না তা জানা যায়নি। তবে রেল কর্তৃপক্ষের নজরে না আসলেও স্থানীয়দের চোখে পড়েছে রাজশাহীর কয়েকটি রেল সেতুর নড়বড়ে দশা। ওই সব নড়বড়ে সেতুর উপর দিকে প্রতিদিন চলাচল করছে ১৩টি ট্রেন। যেগুলো দিনে ২৬ বার চলাচল করে।
জানা গেছে, রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম এলাকার একটি রেল সেতুর উপর স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকানো পিন খোলা রয়েছে। হাত দিয়ে সেটি বের করা যাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে যার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দিয়েছেন রাজশাহীর একজন সিনিয়র সাংবাদিক।
এছাড়াও ওই সাংবাদিক তার ফেসবুকে আরও দুইটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেগুলো বিশ^বিদ্যালয় স্টেশন থেকে বেলপুকুরের মাঝামাঝি একটি রেল সেতুর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকানোর জন্য দুইটি পিন দেয়ার কথা থাকলেও রয়েছে একটি করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটিতে স্লিপারে লোহার প্লেটই নেই। এছাড়াও সেতুর পাশে দুই লাইনের জোড়ায় ফিসপ্লেটে চারটি নাট-বল্টু থাকার কথা। সেখানে রয়েছে তিনটি। স্লিপারগুলোও বহু যুগের পরাতন। বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।
ওই সাংবাদিক তার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘নড়বড়ে ঝুকিপূর্ন রাজশাহীতে’’।
এছাড়াও অপর স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমাঞ্চল রেলের কতিপয় প্রকৌশলীর নজিরবিহীন দায়িত্বহীনতা ও লুটপাটের নিদর্শন। মহানগরীর একটি রেল ব্রিজের এই হাল’’।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine