রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছি এলাকায় লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগান উদ্ধার হয়নি। ফলে রাজশাহীর সঙ্গে এখনও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
এর আগে ঈশ্বরদী থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন রাতে অভিযান শুরু করলেও বৃষ্টি ও আলো স্বল্পতায় থমকে যায় উদ্ধার কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরোদমে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে চারটি ওয়াগন।
বিকেল নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার খোন্দকার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাতে উদ্ধার কাজ শুরু হলেও বৃষ্টি এবং অন্ধকারের কারণে বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। আজ সকাল থেকে জোরেশোরেই উদ্ধার কাজ চলছে। বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, একেকটি ওয়াগনে ৫০ টন করে তেল ছিল। রেললাইন দুর্বল ও পুরনো হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। এজন্য বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেবে ওই কমিটি। এ ঘটনায় এক প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকে রাজশাহী-ঢাকা, রাজশাহী-খুলনা এবং রাজশাহী-পার্বতিপুর রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই তিন রুটে সকল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাইনচ্যুত ওয়াগন উদ্ধার শেষ করে রেললাইনও মেরামত করা হবে। এই কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে রাজশাহী থেকে সকালের আন্তঃনগর বনলতা, সাগরদাঁড়ি, সিল্কসিটি, কপোতাক্ষ ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে রাতে ঢাকাগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। পরে যাত্রীদের টিকিট ফেরত নিয়ে টাকা ফেরত দেয়া হয়। এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪