মাছ উৎপাদনে সারাদেশের মধ্যে রাজশাহী জেলা ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এখান থেকে বছরে প্রায় ৮১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত অংশ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় রাজশাহীর মাছ।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এর আয়োজন করা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের যৌথ উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক পারভেজ রায়হান, মৎস্য অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো. শামসুজ্জোহা, উপ-পরিচালক হাসান ফেরদৌস, রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা জানান, জেলায় ৪১ হাজার ৮৭৬টি পুকুর রয়েছে। যার মোট আয়তন সাত হাজার ২৯৪ হেক্টর।
এছাড়া ৩ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ১০৮টি বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এছাড়া নদী, খাল, বিল, বারোপিট ও প্লাবন ভূমিসহ মাছ পাওয়া যায় এমন জলাশয় রয়েছে ৪৮ হাজার ৫৩১টি। যার মোট আয়তন ৩৯ হাজার ২৫২ হেক্টর।
রাজশাহী জেলার তথ্য তুলে ধরে মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা আরও বলেন, এখানে বছরে মাছের চাহিদা ৫৮ হাজার ৮১৮ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন। তবে উৎপাদন হয় ৮০ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৭৯৫ মেট্রিক টন। তাই জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকা প্রায় ২২ হাজার ৮১ মেট্রিক টন মাছ রাজশাহীর বাইরে পাঠানো হয়।
এ সময় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বুধবার থেকেই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রথম দিন সংবাদ সম্মেলন করা হলো। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে মহানগরীতে শোভাযাত্রা বের করা হবে।
পরে এক অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষিদের পুরস্কৃত করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে মাছের পোনাও অবমুক্ত করা হবে। তৃতীয় দিন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আলোচনা সভা হবে। এর পরপরই সেখানে মৎস্য মেলা উদ্বোধন করা হবে। চতুর্থ দিন চলবে ফরমালিন বিরোধী অভিযান। এর পরদিন স্কুল-কলেজে অনুষ্ঠিত হবে মৎস্য চাষ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
ষষ্ঠ দিনে হাটবাজারে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে প্রচার করা হবে প্রামাণ্যচিত্র। ২৩ জুলাই সপ্তম দিনে জেলার পবা উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজন করা হবে মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের। জেলা ও উপজেলা মৎস্য দফতর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে সপ্তাহটি উদযাপন করবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর