রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (আরএমসি) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত চিহ্নিত রোগীর সংখ্যা সাত জনে দাড়িয়েছে। এদের মধ্যে একজন আইনিইউতে ভর্তি আছে। এছাড়া হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো ১৯জন রোগী ভর্তি রয়েছেন যাদের সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামীতে করণীয় নিয়ে শনিবার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। তিনটি বেড নিয়ে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু কর্ণার শুরু করলেও রোগী বৃদ্ধির সাথে সাথে বেডের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
হাসপাতল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত যে সাত জন রোগী ভর্তি রয়েছে তাদের সকলেই ঢাকা থেকে রোগটির জীবাণু বহন করে নিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে ৪জনকে ১৭নম্বরে ও দুই জনকে ১৮ নম্বর কেবিনের ডেঙ্গু কর্ণারে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করা হচ্ছে। আর এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহ ভাজন ১৯ জন রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারির ভেতরে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের সকলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ঢাকায় থাকা অবস্থায় জরে আক্রান্ত হন নয়তো ঢাকা থেকে ফিরে এসেই জরে আক্রান্ত হয়েছেন। নাটোর জেলার মাইক্রো চালক ডেঙ্গু কর্ণারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ও হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সেখানে পরিবারের কেউ না থাকায় তিনি সামান্য সুস্থ্য হলে বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই কথা জানিয়েছেন নাওগাঁ থেকে আসা ঢাকায় কর্মরত ডেঙ্গু আক্রান্ত অপর রোগীর পরিবার।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, রাজশাহী হাসপাতালে মোট ৭জন রোগীকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আতিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো। তবে এখন তিনি অনেকটাই উন্নতির দিকে। আজকে (শুক্রবার) পর্যবেক্ষণের পর অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে তাকে হাসপাতালের সাধারণ ডেঙ্গু কর্নারে স্থানান্তর করা হবে। বাঁকিদের ডেঙ্গু কর্ণারে রাখা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় ৯জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের দেয়া তথ্য মতে তাদের সকলেই ঢাকায় গিয়ে রোগটি বহন করে নিয়ে এসেছে।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো ২০জন রোগীকে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। তাদের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তাদেরকে মশারির ভেতরে রাখ হয়েছে। ডেঙ্গু রোগী হিসেবে চিহ্নিত হলেই তাদেরকে ডেঙ্গু করর্ণারে স্থানান্তর করা হবে।
রাজশাহীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। শনিবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। তবে স্থানীয় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine