রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। তবে এখন পর্যন্ত যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, কিংবা চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা রাজশাহীর বাইরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। কেবল এক সাংবাদিকসহ দু’জন ব্যক্তি রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে, রামেক হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এসময়ের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দু’জন রোগী। এছাড়া শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ৬৩ জন।
আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১২৪ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগী যেমন বাড়ছে, তেমনি সুস্থ হয়ে আবার বাড়িও ফিরছেন। আর তারা প্রায় সবাই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কেবল ফেরদৌস সিদ্দিকী নামে এক সাংবাদিক রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের রাজশাহী নিজস্ব প্রতিবেদক। এছাড়া আরও একজনের কথা শোনা গেছে। তবে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হননি বলেও উল্লেখ করেন হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশ ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে। সেখানে বেড সংখ্যা ১৭টি। তিনটি বেড নিয়ে হাসপাতালের ১৭ নম্বর কেবিনটিকে ডেঙ্গু কর্নার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারি টানিয়ে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। সেখানেই বেশিরভাগ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেও জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর