ঈদের দিন বিকেল থেকেই রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাড়সহ বিনোদন কেন্দ্র সমুহে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভীগ জমলেও একদিন পরে বর্ষণমুখর আবহাওয়ায় ঘোরাঘুরিতে ভাটা পড়েছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে মানুষের চলাচলে ভাটা পড়েছে। তবে বিনোদন পিপাসু মানুষকে ঘরে রাখতে পারেনি। ঈদের তৃতীয় দিনও বুধবার বৃষ্টি উপেক্ষ করে ভিড় দেখা গেছে নদীর ধারে। পার্ক, চিড়িয়াখানার চেয়ে এখানেই মানুষের ভিড় বেশি।
রাজশাহীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীর ধারে অন্য দিনগুলোতে শুধু বিকেলেই মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে সকাল, দুপুর, বিকেল-সব সময়ই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা দল বেঁধে ভিড় জমাচ্ছেন পদ্মার পাড়ে। কেউ কেউ আসছেন পরিবারসহ। এমন ভিড় থাকবে আরও দুয়েকদিন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টির পর রংধনু দেখা যায় নদীতে। রংধনুর সাত রং বিনোদনের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দেয়। পদ্মার পাড়ে যাওয়া বিনোদন পিপাসুদের প্রায় সবাই ছবি তুলতে শুরু করেন রংধনুর সঙ্গে। পদ্মার পাড়ে গিয়ে অনেকেই নৌকায় চড়ে ঘুরতে যান নদীতে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে নগরীর বড়কুঠি এলাকায় পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন অনেকেই। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন বলেন, তার পরিবার থাকে রাজশাহীতে। কিন্তু তিনি থাকেন ঢাকায়। তাই ঈদের ছুটিতে তিনি স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে পদ্মার পাড়ে এসেছেন।
শুধু রাজশাহী মহানগরী নয়, দর্শনাথীরা আসছেন রাজশাহীর আশেপাশের অঞ্চল থেকেও। নঁওগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ বেশ কিছু এলাকার তরুণরা ঈদের পরের দিন এসেছেন পিকআপসহ ছোট বড় নসিমন-করিমন এমনকি ট্রাক ভাড়া করেও। এতে ঝুঁকি থাকলেও তারা বলছেন, বছরের একটি দিন আনন্দ করছেন এভাবেই।
রাজশাহী মহানগরীতে পদ্মার পাড় ঘেঁষে থাকা পদ্মা গার্ডেন, লালন শাহ পার্ক, সীমান্ত নোঙ্গর, সীমান্তে অবকাশ, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ এলাকায় এখন দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, শহীদ জিয়া শিশু পার্কেও দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে।
তবে বুধবার সকাল থেকে বৃস্টির কারনে বিনোদন পিপাসুদের আনন্দে ভাটা পড়েছে। অনেকে বসে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। আবহাওয় ভালো হলে বিনোদন কেন্দ্রসমুহে ভীড় বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine