রাজশাহীর বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারনে পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় নি। ফলে বাজারে আমদানী কম থাকায় মাত্রারিক্ত দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার রাজশাহীর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঈদের পরে শাক-সবজির দাম খুব বেশি না বাড়লেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দাম বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ এমন দাম বাড়ার বিভিন্ন কারন দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সাহেববাজারের সবজি ব্যবসায়ী মুনজুর রহমান বলেন,ে বাজারে পেঁয়াজর সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনিতেই এটা পেঁয়াজের সিজন নয়। তার উপরে এবছর পেঁয়াজের সিজনে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। স্টোরে রাখলে বস্তায় পঁচে যাচ্ছে। যার কারনে এখন বাজারে কমে গেছে পেঁয়াজ। এজন্য দাম বাড়তি।
এদিকে কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি ঢেড়স ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঝিঙ্গে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রায় সব ধরনের শাক বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা দরে। এছাড়াও রসুন ২০০ টাকা ও আদা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সবজির এমন দামে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। ক্রেতা আদনান শফিক বলেন, বাজারে ৩০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। পেঁয়াজের দাম তো লাগাম ছাড়া। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মত নিম্নবিত্ত ঘরের মানুষরা কিভাবে দিন পার করবে?
বাজারে প্রতিহালি সাদা ডিম ৩৪ টাকা ও লাল ডিম ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০-৯০ টাকা, বোতলজাত তেল ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও খোলা সরিষা তেল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারে রকমভেদে দাম উঠানামা করতে দেখা গেছে। বাজারে রকমভেদে সিলভার কার্প ১২০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৫০০-১০০০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ১৬০-২২০ টাকা, ইলিশ ৬০০-৯০০ টাকা, কাতল ২৮০-৪০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৮০০ টাকা ও বোয়াল ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে সকল ধরনের মাংসের দাম স্থির থাকলেও দাম বেড়েছে সোনালী মুরগির। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫২০-৫৫০ টাকা, খাঁশি ৭২০-৭৫০ টাকা, পোল্ট্রি ১২০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
চালের বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৫০ টাকা, আটাশ ৩৬-৪০ টাকা, নতুন জিরাশাল ৫৫ টাকা, পুরোনো জিরাশাল ৬০ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা, কালোজিরা ৮৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৫ টাকা, কালজিরা পোলাও ৮০-৯০ টাকা ও চিনিগুড়া আতপ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine