রাজশাহী নগরীর রেলগেট থেকে সিঅ্যান্ডবি মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক বিভাজনে শোভা পাচ্ছে ফুল আর সবুজে ছাওয়া নানা প্রজাতির গাছ। আর শরতের এ মৌসুমে রাজশাহী নগরীর সড়ক বিভাজনগুলো ভরে উঠেছে সবুজের পাশাপাশি নানা রঙের ফুলে। পথচারীরা জানিয়েছে এই রাস্তাগুলোতে যাতায়াতে আলাদা এক প্রশান্তির ছোঁয়া লাগে। একই সাথে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনেও ভূমিকা রাখছে এ উদ্যোগ।
নগরীর সড়ক বিভাজনগুলোতে লাগানো নানা প্রজাতির ফুল ও গাছের মধ্যে রয়েছে কনকচূড়া ফুল, জারুল ফুল, কৃষ্ণচূড়া ফুল, গাঁধাচূড়া ফুল, কাঞ্চন ফুল, হাইকা ফুল, পলাশ ফুল, চেরি ফুল, কাঠকরলা ইত্যাদি। আর রয়েছে পামগাছ।
সকালে সড়ক বিভাজনের পাশে দাঁড়িয়ে ফুলের সঙ্গে সেলফি তুলছিল সেলিনা হায়াত নামের এক কিশোরী। জানতে চাইলে সেলিনা বলে, ‘ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশের রাস্তাগুলোর পাশে বা সড়ক বিভাজনে ফুলের ছবি দেখে মন ভরে যায়। সেই দৃশ্য এখন আমাদের রাজশাহীতে। এখন আমরাই ডিভাইডারে ফুলগাছের ছবি তুলে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট করি। এতে রাজশাহীর বাইরের জেলার মানুষরাও খুশি হয়।’
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আকবর আলী বলেন, ‘সড়ক বিভাজনে একসময় নানা প্রজাতির গাছ ছিল। গাছগুলো যখন কেটে সাবাড় করা হলো তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন আবার সড়কের মাঝখানটা সবুজে ভরে উঠতে দেখে খুব ভালো লাগছে।’
রাসিকের গাছ পরিচর্যাকারী কর্মচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, যেদিন বৃষ্টি হয় না সেদিন সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে ফুল ও পামগাছগুলোতে পানি দেওয়া হয়। এ ছাড়া নানাভাবে পরিচর্যা করা হয় প্রতিদিন।
রাসিক সূত্র মতে, ২০১৬ সালে রাজশাহী নগরীর পরিবেশদূষণ রোধে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এ ছাড়া ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১২ সালে দেশের মধ্যে বৃক্ষরোপণে রাজশাহী নগরী প্রথম হয়েছিল।
সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে নগরীর সড়ক বিভাজনে আট হাজার গাছের চারা রোপণের কাজ চলছে। এ ছাড়া নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২০০টি করে গাছের চারা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আট হাজার গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, ‘নগরীর আলিফ লাম মিম ভাটা এলাকা থেকে ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তায় গত বছর আট হাজার পামগাছ রোপণ করা হয়েছে। গাছগুলো এরই মধ্যে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। পামগাছের সৌন্দর্যে নগরবাসী অনুপ্রাণিত হচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine