শিল্প কারখানা গড়ে না উঠায় রাজশাহীতে বেকার সমস্যা এখন তীব্র উল্লেখ করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন বেকারত্ব দুরিকরনের প্রচেষ্টা চলছে। মেয়র বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে সরকারীভাবে চারটি শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হলেও আজ তা বন্ধের পর্যায়ে। শহর কিংবা জেলা শহরে তেমন কোন শিল্পায়ন হয়নি। পূজি বিনিয়োগ করা হয়নি। বিসিক তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা ছাড়া এখানে তেমন কোন বড় শিল্প গড়ে উঠেনি। ফলে বেকারত্ব এখনও এখানে প্রকট।
শনিবার দুপুরে নগরভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিচিতি বিষয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এখন কথা বলেন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন অনেকগুলো দিক দিয়ে ব্যতিক্রম। পরিচ্ছন্নতাসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি এগিয়ে থাকলেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবাহে এটি খুব বেশি এগুতে পারেনি।
মেয়র আরো বলেন, নগরীতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম টেকসইভাবে করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন সিডিসির মাধ্যমে পরিচালিত প্রকল্পটি এখন ৪০ কোটি টাকার তহবিলে দাড়িয়েছে। আগামীতে এ প্রকল্পটি টেকসইভাবে বাস্তবায়নে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। আগামীতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও যেন এর সুফল ভোগ করা যায় সেজন্য নিবিড়ভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছে ও প্রচেষ্টায় এমডিজি বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। এই অবস্থায় নারীদের আর অবহেলিত বলা যাবে না। নারীরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রীও নারী। নারীরা বিমান চালাচ্ছে, পুলিশ হচ্ছে, জেলা প্রশাসক হচ্ছে। নারীরা এখন আর শুধু ঘরের মধ্যে নেই। রাজশাহীতে নারীদের কার্যক্রম অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। শাহীন আকতার রেনী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যেককে ভালো কাজ করতে হবে।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসি প্রকল্পের সদস্য সচিব ও রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর ইসলাম তুষার। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন এলআইইউপিসি সিটি লিয়াজোঁ সমন্বয়ক মো. ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এলআইইউপিসি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব আব্দুল মান্নান, এলআইইউপিসিপি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক একরামুল কবীর।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন