টানা বর্ষণে পদ্মাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। এরমধ্যে ফারাক্কার প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেওয়ার অস্বাভিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি।
শুকনো মৌসুমে পদ্মায় পানি না থাকলেও রাজশাহীর চরাঞ্চল এখন ডুবতে বসেছে ফারাক্কা থেকে ধেয়ে আসা পানিতে। হুমকির মুখে পড়তে বসেছে শহর রক্ষা বাঁধও।
টানা বর্ষণে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে ভারত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি লকগেইট খুলে দিয়েছে। ফলে অস্বাভিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর পদ্মায় প্রবাহ বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রবাহ বেড়েছিল ৬ মিটারের মতো। ফলে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমার ১৮ দশমিক ৫০ মিটারের কাছাকাছি চলে এসেছে। ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে বেশকিছু দিন ধরে মহানগরীর টি-বাঁধ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ রাখা হয়েছে।
এদিকে, রাজশাহীর পদ্মার চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন তিনি।
ফেসবুকে পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘পদ্মা নদীর পানি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়তে পারে, তারপর কমা শুরু হতে পারে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ঢাকায় কথা বলে প্রথম দফায় কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। একটু আগে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমি রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছি গোদাগাড়ী ও পবাসহ সকল চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে (প্রয়োজন হলে) মানুষ সরিয়ে মূল ভূখণ্ডে কয়েকদিনের জন্য নিয়ে আসার জন্য। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত এবং বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজগুলো করবেন বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ