আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সস্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে আমরা নই। যারা ছাত্ররাজনীতির নামে অপকর্ম করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। রাজনীতিবিদদের অধিকাংশেরই হাতেখড়ি ছাত্ররাজনীতি থেকে। কাজেই মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে সার্কিট হাউজে প্রাঙ্গণে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে’ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাদক, জুয়া, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতিসহ সবধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে এই শুদ্ধি অভিযান। প্রথমে ঘর থেকে শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবখানে এই অভিযান চালানো হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ক্যাসিনোকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নজরদারিতে রয়েছেন কি-না তা পরে জানা যাবে। তবে তিনি আত্মগোপনে নেই।
‘আর যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। তারা নজরদারিতে রয়েছেন,’ যোগ করেন কাদের।
মহাজোটের শরিক দল বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে আছে। তারা গঠনমূলক আলোচনা করতে পারে। যা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ফলদায়ক। আর ১৪ দল মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে ঠিক আগের অবস্থানেই রয়েছে।’
পরে ওবাদুল কাদের রাজশাহীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
প্রতিনিধি সভায় মোহাম্মদ নাসিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। এ সভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ