রাজশাহী নগরীর ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়নে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নুতন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। এরই ধারাবাহিকতায় নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসার রোডসংলগ্ন রামচন্দ্রপুর এলাকার ড্রেনগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে। তবে নির্মাণাধিন ড্রেনের মধ্যে হাটুপানি জমে থাকা অবস্থাতেই সেই ড্রেনে ঢালাই (কংক্রিট) দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে এই ড্রেনের কাজের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজের মূল ঠিাকাদার প্রতিষ্ঠান দেশের স্বনামধন্য মীর আক্তারের। রামচন্দ্রপুর এলাকার ড্রেন নির্মাণ করার জন্য মীর আক্তারের প্রতিষ্ঠানটি কাজটি সাবকন্টাক্ট নিয়েছেন জসিম নামের এক স্থানীয় যুবক। তার তত্ত্বাবধানেই এই এলাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। বিষয়টি জসিম নিজেও স্বীকার করেছেন।
রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা সাগর জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে এলাকার বিভিন্ন ড্রেন ও ডোবাগুলোতে পানি জমে রয়েছে। সেই সাথে বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানিগুলোও ড্রেন দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হচ্ছে। আর পানি না সরিয়েই সংস্কারাধীন জলাবদ্ধ ড্রেনে ঢালাই ফেলা হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে রামচন্দ্রপুর এলাকার পুকুরের পূর্ব পাশের একটি গলির মুখে গিয়ে দেখা যায় সেখানে নতুন করে একটি ড্রেন করা হচ্ছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন লেবার সেখানে কাজ করছে। পাশেই ঢালাই মেশিনে ঢালাই মিকচার তৈরি হচ্ছে। নির্মাণাধিন ড্রেনটির মধ্যে হাটুপানি জমে রয়েছে। আর সেই হাটু পানির মধ্যেই পর্যায়ক্রমে লেবাররা এসে ঢালাই ফেলছে। এভাবে কাজ এগিয়ে চলেছে।
ড্রেনটি নির্মাণে কাজ করা এক লেবারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আশপাশের বাড়ি থেকে পানি আসছে, তাই ড্রেনে পানি জমে আছে। তবে পানির মধ্যে ঢালাই ফেললে কোন সমস্যা হবে না। এদিকে পানির মধ্যে ঢালাই ফেলে কাজ করলে কাজের মান কেমন হবে এমন প্রশ্লেন জবাবে ড্রেনটির নির্মাণে সাব ঠিকাদার জসিম জানান, এলাকাবাসী পানি ব্যবহার বন্ধ না করায়, তাদের ব্যবহৃত পানি ড্রেনে এসে জমেছে। ড্রেনে পানি থাকলেও কাজের মানে কোন পরিবর্তন হবে না বা কোন সমস্যা হবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন এই সাব ঠিকাদার।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন