বুধবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরপরে বৃহস্পতিবার সকালে একটু বিরতী দিয়ে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। কার্তিক মাসে এ বৃষ্টি জানান দিচ্ছে শীত আসছে। শীতের শুরুতে এমন মেঘলা আকাশ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া যে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি শেষ হলেই মেঘ কেটে যাবে। তার পরে নামতে শুরু করবে শীত।
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তাই বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তবে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে ৯৬ শতাংশ হওয়ায় গরমের অনুভূতিও বেড়েছে। আবার শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা কুয়াশাও পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপে বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১২ কিলোমিটার। আর সকালের দিকে সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে আগামী মঙ্গলবার নাগাদ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন