রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়ার সময় একটি কেন্দ্রে ৬০ জন ভূয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসে এই ভুয়া শিক্ষার্থীরা ধরা পড়েছে।
তারা রাজশাহী নগরীর কয়েরদাড়া আরবান স্লাম আনন্দ স্কুল ও মালদা কলোনী আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলের নামে পরীক্ষা দেয়। রাজশাহী শহরে মোট ১৩টি এরকম আনন্দ স্কুল রয়েছে। রোববার শেষ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য কেন্দ্রের আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীর বৈধতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আজ রোববার পিইসি পরীক্ষার শেষ দিনে গণিত পরীক্ষা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষার সময় ছিল।
আরবান স্লাম আনন্দ স্কুল ও মালদা কলোনী আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলের ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ জন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের জেরার মুখে নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা টাকার বিনিময়ে আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। ভুয়া শিক্ষার্থী ধরা পড়ার পরে তাদের স্কুলের শিক্ষকেরাও এক পর্যায়ে স্বীকার করেছেন যে, প্রকল্প চালু রাখতে ভুয়া পরীক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজা নাসরীন জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবারই বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষকদের এ বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রোববার পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, একটি মেয়ের প্রবেশপত্রে কোনো ছবি নেই। তাকে বাইরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করা হলে সে স্বীকার করে যে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আনন্দ স্কুলে শিক্ষার্থী কম তাই তাকে ওই স্কুলের পরীক্ষার্থী হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে।
সে জানায়, তার মতো আরও অনেকেই আছে। এরপরই একে একে ধরা পড়ে ৬০ জন ভুয়া শিক্ষার্থী। এরপর বিষয়টি বিষয়টি রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বোয়ালিয়া থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা তাসলিমা নাসরিন বলেন, আনন্দ স্কুলের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা লিখিতভাবে আনন্দ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। আর ভুয়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন