রাজশাহীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে হঠাৎ করেই নেমে গেছে তাপমাত্রা। ভোরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলছে রাজশাহী আবহাওয়া দফতর।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, ভোর ৬টার দিকে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এই মৌসুমেরে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই মুহূর্তে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এই অবস্থা চলবে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে ২১ ডিসেম্বরের পর কিছুটা তাপমাত্রা বাড়বে।
ঢাকা আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ডিসেম্বরের শেষে রাজশাহী অঞ্চলে অন্তত একটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। আগামী জানুয়ারিতে অন্তত তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে দুটিই রূপ নিতে পারে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে। যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতেও হানা দেবে অন্তত একটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে রাজশাহীজুড়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো হিম হাওয়া। এতে বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষজন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। যে যার মত করে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দুস্থদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে সরকার। এরই মধ্যে জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাছে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, এবার জেলায় ৬৪ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। এই বরাদ্দ গত নভেম্বরেই এসেছে। এরপর থেকে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শীতবস্ত্র বিতরণ শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি শীতবস্ত্র বিতরণ শেষ হবে।
তীব্র শীতে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছেন। রোগীদের সেবায় সব ধরণের প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪