করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে আগামী এক সপ্তাহ সামাজিক দুরত্ব মানা অপরিহার্য। কিন্তু রাজশাহীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ। বার বার সতর্ক করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। ফলে প্রতিদিনই বেলা বাড়ার সাথে সাথে নগরীজুড়ে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। তবে মানুষকে ঘরমুখী করতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
করোনা সতর্কতায় গেল ২৬ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজার ছাড়া সব ধরনের বিপণী-বিতানও বন্ধ করা হয়। এসময়ের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে না হওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি জারি করে সরকার। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা ঝুঁকি এড়াতে আগামী সাতদিন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাস ২-১৪দিনে পর্যন্ত মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। তাই ১৪দিন পর বোঝা যাবে সংক্রমিত হয়েছে কি না। এজন্য সেই হিসেবে আগামী সাতদিন খুবই সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলছেন, নানা অজুহাতে ঘর হতে বেরুতে শুরু করেছে মানুষ। নগরীতে অটোর সংক্যাও বেড়েছ। তাই এ বিষয়ে আমরা কঠোর হচ্ছি।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও জানিয়েছেন, অহেতুক মানুষের ভীড় আমরাও লক্ষ্য করছি। এটি আর সহ্য করা হবে না। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে।
আইইডিসিআরের তথ্যমতে, সীমিত পর্যায়ে দেশে সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জোর তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন