রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপিত ল্যাবে এতদিন এক দিনে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ছিল। এখন থেকে সেখানে এক দিনেই ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। দুই শিফট চালু হওয়ায় এই ল্যাবের সক্ষমতা বাড়লো দ্বিগুন।
রামেক উপাধ্যক্ষ ও মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি জেলা থেকে তাদের এখানে নমুনা আসে। কিন্তু ল্যাবে এক দিনে ৯৪টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এজন্য এত দিন সবগুলো নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ছিল। ৯৪টির পর যেগুলো বেশি হতো সেগুলো ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হতো। এতে রিপোর্ট পেতেও দেরি হচ্ছিল।
এ অবস্থায় রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা তাদের ল্যাবের সক্ষমতা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। তাদের কথায় সাড়া দিয়ে ল্যাবে এক শিফটের জায়গায় দুই শিফট চালু করা হয়েছে। ৩ মে প্রথমবারের মতো রামেকের এই করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডা. বুলবুল হাসান আরও জানান, তারা সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করেন। এর মধ্যে দুই শিফটে ১৮৮টিই নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। তবে ত্রুটি থাকায় ৩৭টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বাকি ১৫১টি নমুনার মধ্যে শুধু একটি রিপোর্ট পজিটিভ। করোনা সংক্রমিত এই কভিড-১৯ রোগীর বাড়ি পাবনায়।
এর আগে গত ১ এপ্রিল এই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তাল আরও একটি পিসিআর মেশিন দিয়ে করোনা ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর রোববার (৩ মে) পর্যন্ত ১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি বাঘা উপজেলায়। তবে মৃত্যুর আগে তার করোনা পজিটিভ আসলেও মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর পরও কভিড-১৯ আক্রান্তেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে রেকর্ড করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ