নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহীর আরডি মার্কেটে খোলা রাখা হয়েছে দোকানপাট। সেখানে কেনাকেটা করতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। শুক্রবার রাতে সভা করে ঈদ পর্যন্ত নগরীর সব দোকানপাট ও বিপনী-বিতান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহনের পরদিন শনিবার সকাল থেকেই এ কান্ড ঘটনায় আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য কৌশল করে প্রধান গেট শুধু বন্ধ রাখ হয়েছে। তবে হাজারো বিকল্প গেট পুরো খুলে রেখে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এতে সাই দিয়ে সেখানে ভীড় জমিয়েছেন অসচেতন হাজারো ক্রেতা। সকাল থেকে নগরীর বিশাল এ মার্কেটে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে প্রশাসনের কোনো নজরদারি লক্ষ্য করা যায় নি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়া হলেও রাজশাহীতে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবার দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ঈদের আগ পর্যন্ত দোকানপাট খোলা যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে শনিবার সকাল থেকেই রাজশাহী আরডিএ মার্কেটের দোকানপাট খুলতে শুরু করে।
এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় আরডিএ মার্কেটের ভিতরে কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাটে। দোকানগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা দূরত্ব বজায় না রাখার পাশাপাশি হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্য করা যায়নি।
মুজিবুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী দাবি করেন, দোকানপাট না খুললে তাদের ক্ষতি হবে এ কারণে তারা ঈদের আগে দোকানপাট খুলে ব্যবস্যা করছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে আসা ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তিনি। চারঘাট থেকে আসা ক্রেতা বিলকিস বানু বলেন, দোকানগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কোনো ব্যবস্থা নাই। এতে করে করনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাজারে এসেছেন কেন জানতে চাইলে, সোজা উত্তর সামনে ঈদ তাই।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে সম্মিলিতভাবে দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় মার্কেটের দোকান কর্মচারীদের সহায়তা প্রদানের বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে নগরীর সবচেয়ে বড় মার্কেট আরডিএ খুলে রাখা হয়েছে।
রাজশাহী চেম্বার সভাপতি মণিরুজ্জামান মণি বলেন, আমরা সবাইকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ঈদের আগে সব দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। তাও অনেকে আদেশ ফলো করছে না। ঝুকি নিয়ে দোকানপাট খুলছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ দরকার বলে জানান তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন