ঈদের দিন আনন্দ ভ্রমণে বের হয়ে রাজশাহীতে সড়কে প্রাণ হারালেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী।
সোমবার (২৩ মে) গোদাগাড়ী ও বাগমারা উপজেলায় আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা।
তারা হলেন- গোদাগাড়ীর বিদিরপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে রিয়াদ (১৮) এবং মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাশেদ (২০)। দুজনই মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান ও গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এ দুই তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের পর বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে বের হন রিয়াদ। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে গোদাগাড়ীর সোনাদীঘি এলাকায় একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কায় রিয়াদ ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
এ সময় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রাজশাহীর মোহনপুরের রাশেদও একটি মোটরসাইকেলে দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তারা বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদের মৃত্যু হয়। আহত হন দুর্গাপুর গ্রামের ইন্তাজ শাহ’র ছেলে মিজান (২০) এবং একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মেহরাব (১৯)।
এর মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় মেহরাবকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর মিজানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। নিহত রাশেদ মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাজ খানের ভাতিজা। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এদিকে, দুই তরুণের মৃত্যুতে আনন্দের ঈদ তাদের পরিবারে বিষাদের রূপ নিয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ