করোনা আক্রান্ত মৃত পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসায় রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ১৮ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ি ডিউটি বিরতিতে থাকবে। নওগাঁর যে পুলিশ সদস্য মারা গেলেন তার ভগ্নিপতি এক পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সেখানে কর্মরত ছিল। অনেকেই তার সংস্পর্শে এসেছেন। তাই শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির মোট ১৮ জন সদস্যকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবারই নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, কয়েক দিন আগে রাজশাহীর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত নওগাঁর এসআই মোশাররফ হোসেন মারা যান। এ সময় সংস্পর্শে আসেন ওই পুলিশ সদস্যের ভগ্নিপতি শিরোইল ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান।
তিনি ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালনের সময় তার সংম্পর্শে আসেন আরও ১৭ পুলিশ সদস্য। করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় ওই ফাঁড়ির ইনজার্চসহ ১৮ পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেনন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির।
মঙ্গলবার এসআই মিজানের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবার নমুনাই সংগ্রহের পর পরীক্ষা করা হবে। আর এখানকার পুলিশ সদস্যরা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও বোয়ালিয়া থানা ও আশপাশের ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা আপাতত শিরোইল ফাঁড়ি এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষায় কাজ করবেন বলেও জানান ঊর্ধ্বতন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে রাজশাহীতে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) করোনায় মৃত্যু হয়। তার নাম মোশাররফ হোসেন। ৫৭ বছর বয়সী এ পুলিশ কর্মকর্তা গত শুক্রবার (২২ মে) রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ