করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ৭৩ দিন পর রাজশাহীর রাস্তায় নেমেছে দূরপাল্লার বাস। বিরতি ভেঙে নেমেছে আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোও। সোমবার সকাল থেকে সীমিত পরিসরে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাসগুলো রাজশাহী ছেড়ে গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত ১৯ মে রাজশাহী থেকে সকল রুটের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ হয়ে যায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তজেলা রুটের বাস চলাচল।
রাজশাহী বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে রাজশাহী থেকে সকল রুটেই বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সীমিত আকারে পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে বাসগুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে বাস। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী বাসে ওঠানো হচ্ছে না। নির্ধারিত আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রতিটি বাস জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। চালক-হেলপার ও সুপারভাইজারদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন মালিকরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার ঘোষিত ৬০ শতাংশ বর্ধিত হারে ভাড়া আদায় করছি। কোথাও কোথাও যাত্রীরা এনিয়ে ঝামেলা করছেন। তবে ৬০ শতাংশের উপরে ভাড়া আদায় হচ্ছে না। নির্বিঘ্নে বাস চলাচলে আইনশৃংখলা বাহিনী সর্বাত্মক সহায়তা করছে।
নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝে মাঝে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীদের উপস্থিতি আগের তুলনায় কম। খোলা হচ্ছে দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলো।
কোথাও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।
তিনি বলেন, সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ দল মাঠে রয়েছে। বাস কাউন্টারগুলোতে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে দেখভাল করা হচ্ছে।
শুরুর দিকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার একটি অভিযোগ পেলেও এরপর আর কোনো অভিযোগ নেই। এমন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪