১। পদ্মা গার্ডেন:
রাজশাহী শহর মূলত পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত। আর পদ্মা নদীর পাশ দিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন কেন্দ্র, যার মধ্যে পদ্মা গার্ডেন অন্যতম। পদ্মা গার্ডেন একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে রয়েছে বেশ কিছু মনোরোম স্থান, বিভিন্ন ধরনের রেস্তোরাসহ ভিন্ন ভিন্ন সব অবকাঠামো।
২। লালন শাহ মুক্তমঞ্চ:
মুক্তমঞ্চ হলো পদ্মার তীর বেয়ে ঘেঁষে ওঠা আরেকটি উন্মুক্ত বিনোদোন কেন্দ্র, যা ২০১৩ সালে স্থাপিত হয়েছে। এখানে রয়েছে মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধা। তাছাড়া প্রকৃতির মুক্ত হাওয়া খেতে লোকজনের সমাগম লেগেই থাকে এখানে।
৩। টি-বাঁধ ও আই বাঁধ:
আপনি যদি রাজশাহীর শান্ত, সিগ্ধ কিংবা অপরুপ কোথাও যেতে চান তাহলে আপনাকে ঘুরে আসতে হবে এই দুই বাঁধে। এখানে পদ্মার শীতল হাওয়া নিমিষেই আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে।
আর দুই বাঁধেই রয়েছে সারি সারি সব গাছ। যেগুলোর ছায়া আর সৌন্দর্যে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।
৪। সবুজ সিএন্ডবি রাস্তা:
রাজশাহীর সবচেয়ে সুন্দর, শ্যামল রাস্তাগুলোর মধ্যে সিএন্ডবি অন্যতম। খুব সকালে এই রাস্তায় হাঁটলে আপনি অনুভব করতে পারবেন এক নৈসর্গিক মায়া। সন্ধ্যার জাঁকজমক সিএন্ডবিতো রয়েছেই, সেই সাথে রয়েছে এখানকার গরম গরম রসগোল্লা।
৫। প্যারিস রোড, রাবি:
রাজশাহী এসে প্যারিস রোড ঘুরে যাননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তাগুলোর একটি এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড। এর চারিদিকের অপরূপ লাবণ্যতা আপনাকে এনে দিবে অন্যরকম প্রশান্তি।
৬। রাতের কয়েকটি আলোকসজ্জিত রোড:
রাজশাহীর প্রতিটি রাস্তা দেখলেই আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। আরো বেশি বিমোহিত হতে থাকবেন রাতের আলোকসজ্জিত রাস্তাগুলো দেখলে। অন্যতম হিসেবে রয়েছে তালাইমারি থেকে আলুপট্টি, তেরোখাদিয়া এছাড়াও প্লেন চত্বরের রাস্তা। রাতে এই রাস্তাগুলোতো রিকশাযোগে কিংবা হেঁটে পথ চলতে শুরু করলে আলোর ঝলকানিতে আর পথ ফুরোতে ইচ্ছে করবে না।
৭। দৃষ্টিনন্দন রাজশাহী কলেজ:
১৮৭৩ সালে স্থাপিত এই কলেজটি এখন সারা বাংলাদেশ খ্যাত। প্রশাসন ভবনের গাঢ় লাল দালানটিই অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির গাছ-গাছালি। এই কলেজের সকল সৃষ্টিই আপনাকে করবে মোহিত।
৮। রাজশাহী চিড়িয়াখানা:
প্রায় ৩৩ একর ভূমিতে নির্মিত শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র এবং শিশুপার্ক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জনপ্রতি ২৫ টাকা করে টিকিট কেটে যে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। আর পিকনিক স্পটের জন্য আলাদাভাবে ফি জমা দিতে হয়। তবে সংস্কারকাজ চলমান থাকায় আপাতত এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়নি।
৯। শহীদ জিয়া শিশু পার্ক:
রাজশাহীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া শিশু পার্ক এই শহরের একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। যার অন্যতম সৌন্দর্য হিসেবে রয়েছে দীঘির মাঝখানে কৃত্রিম পাহাড়। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে পার্কটি, যার প্রবেশমূল্য ২৫ টাকা।
১০। ওয়াটার পার্ক:
রাজশাহীর মোহনপুরের খয়রাতে সম্প্রতি গড়ে ওঠা এই মিরাকল ওয়াটার পার্কটির প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। যা আপনাকে এনে দিবে অন্যরকম এক স্বাচ্ছন্দ্য। এখানে গোসলের জন্য রয়েছে আরো ৩০০ টাকা চার্জ। পার্কটি খোলা থাকে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
৮ কমেন্টস
সুন্দর বলেছেন। মিরাকল ওয়াটার পার্ক৷ বাদে সব গুলোই ঘুরেছি।অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরা ঠিকানা উল্লেখ করলে ভালো হত
Beautiful place!!!
খুব সুন্দর
আরও কি কি আচে
Porda garden, jia park ty gachi ..khub sundor place AK kothai..
Water park chinte parlam na
Good